আজ মঙ্গলবার, ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
আজ মঙ্গলবার, ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে চায় না ভারত-অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড

 

টেস্ট ক্রিকেটকে রক্ষা করতে দুই স্তরের কাঠামোয় সাজানোর প্রস্তাব আইসিসিকে দিচ্ছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। সদ্যসমাপ্ত বোর্ডার গাভাস্কার সিরিজের পর এর আলোচনা জোর পেয়েছে বেশ। এর পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন ও ভারতীয় কিংবদন্তি রবি শাস্ত্রী।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, এই মাসে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারতের এই দুই স্তরের টেস্ট কাঠামোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসবেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ। এই কাঠামো প্রবর্তন করা হলে বাংলাদেশের মতো দলের জন্য টেস্ট ক্রিকেটে শীর্ষ দলগুলো যেমন ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলা হবে না আর, যা আবার আর্থিকভাবেও ক্ষতি করতে পারে দলগুলোকে।

ভন ও শাস্ত্রীর প্রস্তাব, টেস্ট ক্রিকেটের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে প্রোমোশন ও রেলিগেশন ব্যবস্থাসহ দ্বিস্তর কাঠামো চালু করা প্রয়োজন। সবশেষ বোর্ডার গাভাস্কার সিরিজ দেখে এই ভাবনা আরও শক্ত হয়েছে ভনের, বিষয়টা জানালেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এই সিরিজটি আমার দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও মজবুত করেছে যে ক্রিকেট কোন দিকে যাচ্ছে এবং প্রশাসকদের কী নিয়ে কাজ করা উচিত।’

ভন আরও এক চমকে যাওয়ার মতো প্রস্তাব দিয়েছেন, টেস্ট ক্রিকেটকে চার দিনের করে ফেলা হোক বলে মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এটি একটি চার দিনের পণ্য হওয়া উচিত, যেখানে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক ওভার নিশ্চিত থাকবে, প্রতি সিরিজে অন্তত তিনটি ম্যাচ এবং দুটি স্তর থাকবে, যাতে প্রোমোশন ও রেলিগেশন থাকবে।’

শাস্ত্রী বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে টেস্ট সিরিজ প্রমাণ করেছে, টেস্ট ক্রিকেট এখনও তার নিজস্ব অবস্থান ধরে রাখতে পারে, তবে এটি টিকে থাকতে চাইলে সেরা দলগুলোকে আরও ঘন ঘন একে অপরের মুখোমুখি হতে হবে।’

বিষয়টাকে বিবেচনায় আনা হচ্ছে দেখে আনন্দিত ভন। তিনি বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে আইসিসি ২০২৭ সাল থেকে দ্বিস্তর কাঠামোর কথা বিবেচনা করছে, যা প্রতি তিন বছরে দু’বার অ্যাশেজ আয়োজনের সুযোগ দিতে পারে।’

তবে ছোট দলগুলো এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। দ্বিস্তর চালু হলে বড় দলগুলো একে অপরের বিপক্ষে বেশি খেলবে, যা ছোট দলগুলোর আয় ও প্রতিযোগিতার সুযোগ কমাবে। ২০১৬ সালেও এমন একটি প্রস্তাব উঠেছিল, কিন্তু ভারতের নেতৃত্বে বিরোধিতার কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি।

শেয়ার করুন
Share on Facebook
Facebook
Pin on Pinterest
Pinterest
Tweet about this on Twitter
Twitter
Share on LinkedIn
Linkedin