আজ মঙ্গলবার, ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
আজ মঙ্গলবার, ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

পাকিস্তানে ৩২ কিলোমিটার বিস্তৃত স্বর্ণের খনি

 

পাকিস্তানের সিন্ধু নদের পাঞ্জাব অংশের অববাহিকা এলাকায় ৩২ কিলোমিটার জুড়ে ৩২,৬৪৮ কেজি স্বর্ণের সন্ধান পাওয়া গেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৮০ হাজার কোটি পাকিস্তানি রুপি।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ পাঞ্জাবের সাবেক খনিজ সম্পদ মন্ত্রী ইব্রাহিম হাসান মুরাদের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন।

ইব্রাহিম হাসান মুরাদ বলেন, “অ্যাটকে স্বর্ণের খনি আবিষ্কারের বিষয়টি পাকিস্তানের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের গবেষণার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ১২৭টি স্থানের নমুনা সংগ্রহ করে এই মজুতের বিশাল সম্ভাবনার কথা জানা গেছে। এই আবিষ্কার পাঞ্জাবের প্রাকৃতিক সম্পদের বিশাল সম্ভাবনা তুলে ধরে।”

পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে রয়েছে। ৮০ হাজার কোটি রুপি মূল্যের খনিজ স্বর্ণের সন্ধান দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করার বড় সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই সম্পদের ব্যবহার জাতীয় ঋণ পরিশোধ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।

পাকিস্তানের ভূতাত্ত্বিক জরিপের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সিন্ধু নদের তলদেশ থেকে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন রুপি মূল্যের স্বর্ণ উত্তোলন সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাজার হাজার বছর ধরে হিমালয় থেকে সিন্ধু নদের স্রোতের সঙ্গে ভেসে আসা সোনার কণা নদীর তলদেশে জমা হয়ে এই মজুত তৈরি করেছে, যাকে “প্লেসার ডিপোজিশন” বলা হয়।

ইব্রাহিম হাসান মুরাদ জানিয়েছেন, কেবল অ্যাটক জেলায় ৩২ কিলোমিটার এলাকা জুড়েই প্রায় ৩২.৬ মেট্রিক টন স্বর্ণ থাকতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে সিন্ধু নদ থেকে স্বর্নের কণা সংগ্রহ করলেও, ২০২৪ সালে পাঞ্জাব সরকার নদী থেকে সোনা উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং অবৈধ খনন বন্ধে ১৪৪ ধারা জারি করে।

শেয়ার করুন
Share on Facebook
Facebook
Pin on Pinterest
Pinterest
Tweet about this on Twitter
Twitter
Share on LinkedIn
Linkedin