আজ বুধবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১২ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
আজ বুধবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১২ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো ডিসেম্বরে

 

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ২.৬৪ বিলিয়ন ডলার বা ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। একক মাস হিসেবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। এর আগে করোনাকালে ২০২০ সালের জুলাইতে ২.৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।

এবার সেই রেকর্ড ভাঙল ২০২৪ সালের বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময় রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার।২০২৪ সালের জুলাই মাস বাদে বাকি ১১ মাসেই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বরে) এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ২৯৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার বেশি। গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৮০ কোটি ডলার।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২০ টাকায় ছিল। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখে। বিপরীত দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে, যা রিজার্ভ বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

 

 

এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ঋণের ৫০ কোটি ডলার যোগ হওয়ার পর রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২১.৩৩ বিলিয়ন ডলার। গত রবিবার যা ছিল ২০.১৭ বিলিয়ন ডলার। এর আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সময়ের দেড় বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর গত ১১ নভেম্বর রিজার্ভ নেমেছিল ১৮.৪৬ বিলিয়নে। এ নিয়ে এক দিনে রিজার্ভে নতুন করে যোগ হলো ২.৮৭ বিলিয়ন ডলার। শিগগিরই বিশ্বব্যাংকের আরো এক বিলিয়ন ডলার রিজার্ভে যোগ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল ২০২১ সালের আগস্টে। এরপর থেকে কমতে কমতে গত জুলাইতে ২০.৩৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। এরপর প্রতি মাসে গড়ে ১.৩০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ কমছিল। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে রিজার্ভ না কমে বরং বাড়ছে। মূলত ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচার ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর অবস্থান, ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরানোর চেষ্টা, রিজার্ভ থেকে ঢালাওভাবে ডলার বিক্রি বন্ধসহ বিভিন্ন কারণে হুন্ডি চাহিদা কমে ব্যাংকিং চ্যানেলে এভাবে রেমিট্যান্স বাড়ছে। আবার জুলাই-নভেম্বর সময়ে রপ্তানি আয় এসেছে এক হাজার ৯৯০ কোটি ডলার। আগের বছরের এই সময়ে যা ছিল এক হাজার ৭৮১ কোটি ডলার। এর মানে পাঁচ মাসে রপ্তানি বেড়েছে ১১.৭৬ শতাংশ। এসব কারণে এভাবে রিজার্ভ বাড়ছে।

 

 

শেয়ার করুন
Share on Facebook
Facebook
Pin on Pinterest
Pinterest
Tweet about this on Twitter
Twitter
Share on LinkedIn
Linkedin