বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচন যত বিলম্ব হবে দেশের সমস্যা তত বাড়বে। জনগণ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব ঠিক করবে। যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব না পাবেন ততক্ষণ পর্যন্ত কোনোভাবেই সংস্কার পূর্ণ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাই নির্বাচন যত দেরি হবে, সমস্যা বাড়বে বৈই কমবে না।
আজ সোমবার ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। জুলাই আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আহত ফটোসাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সাথে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে আহত সাংবাদিকদের আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
তারেক রহমান বলেন, আমরা জনগণের অধিকার যত দ্রুত জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারব, তত দ্রুত দেশকে ধবংসের দ্বারপ্রান্তে থেকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবো বলে বিশ্বাস করি। আর নির্বাচন যত দেরি হবে তত বেশি বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের ডালপালা বাড়তে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, এই দেশ থেকে যারা পালিয়ে গেছে তারা দেশের মানুষের বিপুল পরিমান সম্পদ লুট করে নিয়ে গেছে। অবশ্যই তারা সেই সম্পদগুলো ষড়যন্ত্রের পেছনে ব্যয় করবে। তাই দেশকে যদি একটি স্থিতিশীলতায় আনতে হয়, দেশকে যদি ঐক্যবদ্ধভাবে ধরে রাখতে হয় তবে অবশ্যই জনগণের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে।
দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, এদেশের মূল মালিক জনগণ। এই দেশ নিয়ে কি হবে না হবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার একমাত্র ক্ষমতা বাংলাদেশের মানুষের। সমগ্র পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলতে যা বুঝায় সেটি হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ তাদের মতামত ব্যক্ত করে থাকেন। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন- তারা কি চায়, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তার জবাব দিয়ে থাকে তারা দেশ সম্পর্কে কি বলতে চায়, রাজনীতিবিদকে তারা কি বলতে চায় সেটাও তারা নির্বাচনের মাধ্যমে বলে থাকে।
জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধি ছাড়া কেন সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব নয়- এর ব্যাখ্যা দিয়ে তারেক রহমান বলেন, যাদের সঙ্গে জনগণের সরাসরি সম্পৃক্ততা আছে তারাই কেবল জনগণের কথা তুলে ধরতে পারবেন। তারাই কেবল আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সামগ্রিকভাবে দেশকে সামনের দিকে পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন।
তিনি বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে রাজনৈতিক অধিকার আগে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক স্বাধীনতা না পেলে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা যাবে না। রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে হলে ভোটের অধিকার অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

| Mon | Tue | Wed | Thu | Fri | Sat | Sun |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | |||||
| 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 |
| 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 | 16 |
| 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 | 23 |
| 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 | 30 |




