আজ মঙ্গলবার, ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
আজ মঙ্গলবার, ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

হালাল উপার্জন অল্প হলেও বরকত থাকে: ড. মিজানুর রহমান আজহারী

 

হালাল উপার্জন অল্প হলেও হালাল উপার্জনেই বরকত থাকে বলে উল্লেখ করেছেন জনপ্রিয় আলেম ও আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

তিনি বলেন, শয়তান হারাম উপার্জনকে আমাদের সামনে চাকচিক্যময় করে তোলে। আমাদের বোঝাতে চায় হারামেই আরাম। শয়তানের ধোঁকায় পড়া যাবে না।

সম্প্রতি নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে ইসলামে হালাল উপার্জনের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনার একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি।

বক্তব্যে মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, আমাদের দেশে অনেকে খাওয়ার ক্ষেত্রে হালাল খোঁজেন, কিন্তু উপার্জনের ক্ষেত্রে হালাল-হারামের খবর রাখেন না। শূকরের মাংস দিলে খান না, কিন্তু ঘুস ঠিকই খেয়ে যাচ্ছেন। অথচ শূকরের মাংস যেমন হারাম, ঘুসের অর্থও হারাম।

তিনি বলেন, মুসলমান হিসেবে আমাদের খাবার-পানীয় যেমন হালাল হতে হবে, আমাদের উপার্জনও হালাল হতে হবে। আমাদের পোশাক-আশাক ও বিনোদনও হালাল হতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, হে মানুষ, জমিনে যা রয়েছে, তা থেকে হালাল ও পবিত্র বস্তু আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট শত্রু। (সুরা বাকারা: ১৬৮)

মিজানুর রহমান আজহারী আরও বলেন, এক ব্যক্তির ব্যাপারে জানি তিনি সরকারি চাকরি করেন, হালাল-হারাম বাছ-বিচার না করে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেছেন, কিন্তু এই ব্যক্তিই দেখলাম থাইল্যান্ডে গিয়ে হালাল খাবার খুঁজছেন। দোকানে গিয়ে জিজ্ঞাসা করছেন, এখানকার খাবারে পর্ক শূকরের মাংস/ চর্বি আছে কি না? অর্থাৎ হালাল খাবার খাওয়ার ব্যাপারে তিনি সচেতন, অথচ হারাম হওয়ার পরও ঘুস ঠিকই খাচ্ছেন।

 

শেয়ার করুন
Share on Facebook
Facebook
Pin on Pinterest
Pinterest
Tweet about this on Twitter
Twitter
Share on LinkedIn
Linkedin