
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এ বছর প্রত্যাবাসন শুরু করতে চাই।
রোববার মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতরে নতুন বছরের প্রথম কার্যদিবসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১ জানুয়ারি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর দফতরের মন্ত্রী টিন্ট সোয়েকে চিঠি লিখে এ বছর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার অনুরোধ করেছি। চিঠিতে আমি মনে করিয়ে দিয়েছি তাদের প্রতিশ্রুতির কথা। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে নিরাপত্তা দিয়ে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে। রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করবে কিন্তু কোনো অগ্রগতি হয়নি। আমি বলেছি এর জন্য দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা। নববর্ষে আমরা আশা করি আপনারা আপনাদের কথা রাখবেন।
সংবাদ সম্মেলনে ১৯৭৮ ও ১৯৯২ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমি বলেছি, অতীতে কথা রেখেছেন এবং এখন নিজেদের লোকগুলো নিয়ে যান। যদি এদের ফিরিয়ে না নেয়া হয় তবে এ অঞ্চলে অশান্তির আশঙ্কা আছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সমস্যার সমাধান একমাত্র মিয়ানমারই করতে পারে। তাদের ব্যবহারে পরিবর্তন আসছে। আমরা আশাবাদী। দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক ও বহুপক্ষীয় আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। এমনকি আইনি কাঠামোর মধ্যেও কাজ করছি। যত ব্যবস্থা আছে সব নিয়ে কাজ করছি। মিয়ানমারকে যাচাই-বাছাই করার জন্য ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গার তালিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তারা ২৮ হাজার যাচাই-বাছাই করেছে।
ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমার ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থার উদ্যোক্তা হচ্ছে চীন। তারা এটি নিয়ে কাজ করছে। আমরা সবসময় তৈরি। তারা যখন তারিখ দেবে আমরা বসবো। নতুন উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাপান। জাপানের অনেক বড় বিনিয়োগ আছে মিয়ানমারে। তাদের অনুরোধ করেছিলাম এবং তারা বলেছিল আমাদের সাহায্য করবে। কারণ, মিয়ানমারের ওপর জাপানের প্রভাব আছে। এটি চীনের উদ্যোগের বাইরে। তবে জাপানের উদ্যোগে কাঠামো এখনো তৈরি হয়নি। আমরা বলেছি এবং তারা পছন্দ করেছে। ভারতও চায় রোহিঙ্গারা ফেরত যাক। তারা আমাদের বলেছে মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ করবে। ভারত, জাপান, চীন- সবাই আমাদের সঙ্গে একমত যে- মিয়ানমারেই এ সমস্যার সমাধান আছে।