
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর দায়ের করা ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগিতা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগের (২৮) সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো.ওয়াহিদুজ্জামান এ রিমান্ড আবেদন করেন।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কনক বড়ুয়ার আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো.সাইফুল ইসলাম ও সংগঠনটির ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর কোতয়ালী থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওই শিক্ষার্থী মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮), একই সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন (২৮), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি নাজমুল হুদা (২৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল কাফি (২৩)।
এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর লালবাগ থানায়ও একই আসামিদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন তিনি।
মামলায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ আরও পাঁচজনকে সহযোগিতার অভিযোগে আসামি করা হয়।