আজ বুধবার, ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
আজ বুধবার, ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
বিশেষ মন্তব্য প্রতিবেদন

দিন বদলের কারিগর একজন লিপু

শক্তিশালী সিন্ডিকেট দীর্ঘকাল ধরে ননিহীন ও পানি মিশ্রিত দুধ ক্রয় করার আড়ালে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। সরবরাহাকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আঁতাত করে কেমিক্যালস,যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য মালমাল কেনা হতো বাজার দরের চেয়ে কয়েক গুণ বেশী মূল্যে। এছাড়া গাড়ীর তেল চুরি ও বিভিন্ন ভুয়া ভাউচার তৈরি করে লুটপাটের ঘটনা স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছিল। বিক্রয় কেন্দ্রগুলোর কর্মীদের আচরণ ছিল সাহেব জাদার মত। কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অফিস করতেন খেয়াল খুশী মত। পহেলা বৈশাখ ও ঈদসহ নানা উপলক্ষে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বাসায় বিনা মূল্যে মিল্কভিটার পণ্য সরবরাহ করা হত। এমনকি মিল্কভিটার নিজস্ব কর্মকর্তারাও যখন তখন বিনা মূল্যে পণ্য নিয়ে যেতেন। এসব দেখার যেন কেউই ছিল না। ধারাবাহিক অনিয়ম-দুর্নীতির ফলে প্রতিষ্ঠানটির লোকসানের পাল্লা দিন দিন ভারি হলেও আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা-কর্মচারিরা। মিল্কভিটার সবচেয়ে নিম্ন সারির কর্মকর্তারাও কোটিপতি বনে গেছেন। বাড়ী-গাড়ীর মালিক হয়েছেন। এভাবে লুটেরা চক্রের খপ্পরে পড়ে মিল্কভিটা ধ্বংসের মুখে পতিত হলে হঠাৎ যেন ত্রাণকর্তা রুপে আবির্ভূত হন একজন শেখ নাদির হোসেন লিপু। প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার দিন থেকেই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। যে যুদ্ধে তিনিই রাজা, তিনিই সেনাপতি।
দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে কয়েক বছরের নিরলস প্রচেষ্টায় প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত মিল্কভিটাকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। দুর্নীতি আর লুটপাটের কবলে পড়ে মিল্কভিটা যখন প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয় তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকটাত্মীয় এবং সমবায় বিশেষজ্ঞ শেখ নাদির হোসেন লিপুকে সরকার বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিঃ (যা মিল্কভিটা নামে সমধিক পরিচিত)’র চেয়ারম্যান হিসেবে নিযোগ দেয় ২০১৫ সালে। প্রথম দিন থেকেই তিনি দুর্নীতির মূলোৎপটনে সর্বোচ্চ গরুত্বারোপ করেন। ভেঙ্গে দেন দীর্ঘ দিন ধরে চলা সিবিঅআই’র দৌরাত্ম। চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের। শাস্তিমূলক বদলী করেন অনেককে। অন্যদিকে যথা স্থানে বদলী ও পদায়ন করেন দীর্ঘ দিনের বঞ্চিত ও অভিজ্ঞদের । তছনছ করে দেন ভেজাল দুধ সরবরাহের সুপ্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি। উদ্ধার করেন দীর্ঘ দিন ধরে বেদখলে থাকা মিল্কভিটার পর্যাপ্ত জায়গা-সম্পত্তি। দুধ সরবরাহকারী কৃষক ও সমবায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় গ্রহণ করেন বেশ কিছু পদক্ষেপ। এতে করেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে লোকসানী প্রতিষ্ঠানটি। উৎপাদন-সরবরাহ ব্যবস্থা এবং বিক্রয় কেন্দ্রের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের ফলে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বিক্রির পরিমাণ ও মুনাফা। এসব কাজে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আন্তরিক সহযোগিতার কথাও তিনি উল্লেখ করেন কৃতজ্ঞ চিত্তে।
অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করার পর থেকে একদিকে মিল্কভিটার আয় বাড়তে থাকে। অন্যদিকে বহলাংশে বৃদ্ধি পায় প্রতিটি পণ্যের গুণগত মান। পাশাপাশি তিনি বেশ কিছু নতুন পন্য বাজারে এনেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিভিন্ন ধরণের মিষ্টি, বেকারী পণ্য ও কয়েক রকমের চিজ । এগুলোর মধ্যে রসগোল্লা,রস মালাই,ছানা-সন্দেশ,ঘি, গুঁড়া দুধ ও পাস্তুরিত তরল দুধের দাম,স্বাদ ও মান বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় অনেক ভালো।
এসব করতে তাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে নানা কঠিন পরিস্থিতির। তার প্রাণ নাশেরও চেষ্টা হয়েছে। কিন্ত অসীম সাহসী একজন লিপু পিছ পা হন নি কিছুতেই। যতবার বাধা এসেছে ততবারই তিনি আরো বিপুল বিক্রমে এগিয়ে গেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া এই মিল্কভিটার অগণিত ভোক্তা,কৃষক ও সমবায়ীদের কল্যাণে তার প্রাণান্তকর চেষ্টা চোখে পড়ার মত। তিনি ছকে বাঁধা ঘড়ির কাঁটা দেখে অফিস করেন না। রাত হলেও কাজ শেষ না করে অফিস ত্যাগ করেন না কখনো। যখন যে বিষয় সামনে আসে তখনই এর সমাধান দেন। কাল বা পরশুর জন্য অপেক্ষা করেন না। অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নিয়িমিত পরিদর্শন করেন দেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত মিল্কভিটার প্রতিটি ইউনিট-কারখানা। প্রায় প্রতিদিনই নিজ হাতে পরীক্ষা করেন প্রতিটি উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান ও স্বাদ। মিল্কভিটার অভিভাবক তুল্য এই চেয়ারম্যান প্রতিষ্ঠানটির আরো সম্প্রসারণে বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এসব প্রকল্পের উৎপাদন কার্যক্রম শুর হলে ভোক্তাদের কাছে পণ্যের সহজ লভ্যতা নিশ্চিত হবে বলে আশা করা যায়।
আন্তরিকতা এবং সততার সঙ্গে কাজ করলে যে সব সময় ফল পাওয়া যায়, চরমভাবে বিপর্যস্ত মিল্কভিটাকে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে এনে আমাদের সকলের সামনে এর উৎকৃষ্টতম নজির রাখলেন একজন লিপু।
এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে, অনন্য মহত্বের অধিকারী একজন লিপুকে বৃহত্তর স্বার্থে ভবষ্যিতে আরো গুরুত্বপূর্ণ ও বড় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব অর্পণ করলে সরকার তথা দেশের জন্য নিঃসন্দেহে সুফল বয়ে আনবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিমান,সিভিল এভিয়েশন এবং ঢাকা ওয়াসার মতো জনস্বার্থ-সেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে দীর্ঘ দিনের বদনাম ঘুচিয়ে তিনি মিল্কভিটার ন্যয় ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবেন বলে আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি।
আমাদের পরিবার ও স্বজনদের চিরাচরিত স্বার্থের দ্বন্দ্ব-সংঘাত আর নানা চরাই উতড়াই’র মধ্যেও সেই ছোট্ট কাল থেকেই তিনি সুন্দর-সুকুমার বৃত্তির চর্চা করেছেন আপন মনে। কোনো প্রতিকূলতাই এ চর্চা থেকে এক মুহূর্তের জন্যও তাকে ক্ষান্ত করতে পারেনি। ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তিনি অবিচল থেকেছেন সততা ও নিয়ম-শৃংখলার প্রতি। চাকরি করেছেন। ব্যবসা করেছেন। লড়াই করেছেন অভাবের সঙ্গে। একট সময় পকেটে বাস-রিক্সা ভাড়া দেয়ার মতো কোনো টাকা ছিল না। তাই কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরেছেন পায়ে হেটে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও তিনি নীতি বিসর্জন দেন নি। পিতা-মাতার আদর্শকে লালন করেই দেখা পেয়েছেন সাফল্যের। প্রসঙ্গত প্রয়াত বাবা-মায়ের আদর্শিক জীবনের স্মৃতিগাথা ও মহামূল্যবান পরামর্শের কথা তিনি নিকটজনের কাছে রোমন্থন করেন কৃতজ্ঞ চিত্তে। প্রায়ই গর্বভরে উল্লেখ করেন তার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপরিসীম স্নেহ-ভালবাসার কথা। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি-নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণের পাশাপাশি ৯৬ শতাংশ করোনা টিকাদানের হার (যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ), গৃহহীনদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা,বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ও পদ্মা সেতু সরকারের অর্জন হলেও এক্ষেত্রে ব্যক্তি শেখ হাসিনার অপরিসীম সাহস ও রাষ্ট্র নায়কোচিত দূরদর্শিতা প্রধানতম ভূমিকা রেখেছে বলে দাবি করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর পেছনে ষড়যন্ত্র ও শত্রু না থাকলে দেশের জন্য তিনি আরো বেশী অবদান রাখতে পারতেন বলেও মনে করেন লিপু। সরকারের বদনাম হতে পারে এমন কিছু করার কথা কল্পনাও করেন না। তাই কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্বে চিন্তা করেন বারবার।
তার চরিত্রের আরেকটি বিশেষ দিক উল্লেখ না করে পারছি না। তার অফিস কক্ষ সবার জন্য উন্মুক্ত। সেবা প্রার্থী মানুষের সঙ্গে তার সুন্দর-সৌহার্দ্যময় আচরণ এবং আতিথেয়তা যে কারো জন্য অনুকরণীয় একটি দৃষ্টান্ত। শ্যুট পড়িহিত মানুষকে তিনি গুরুত্ব দেন। পাশাপাশি লুঙ্গি পড়িহিত মানুষকেও অগুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না। প্রত্যেকের যে কোনো সমস্যা তিনি গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন।
অফিসে কে ছোট কে বড়। সে বাছ-বিচার করেন না কখনো। চেয়ারম্যান হলেও তিনি তার সহকর্মীদের দেখেন অভিভাবকের চোখে। ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ডা.আলিম, অফিস সহকারি রতন-রিপন ও গানম্যান সানাউল্লাহ তার একান্ত ভক্ত। ছেয়ারম্যান একদিন অফিসে না আসলে তাদের ভালো লাগে না।
এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত ইংরেজ লেখক স্যার বেকনের একটি উক্তি খুবই প্রণিধানযোগ্য বলে মনে করছি। তিনি বলেছেন, ‘একজন ব্যক্তি তার অধীনস্তদের সঙ্গে কেমন আচরণ করেন, তা দেখে তার মহত্ব বোঝা যায়।’ শুধু সহকর্মীরাই নয়। একজন লিপুর সঙ্গে যারা কাজ করেছেন তাদের প্রায় সকলের মূল্যায়নই একই রকম। লিপুর দীর্ঘকালের ব্যবসায়িক পার্টনার ফখরুল ও প্যাটেল বলেন,‘উনি যেখানে যাবেন সেখানেই সাফল্য আসবে। কারণ, যে কোনো কাজের বেলায় নীতির সঙ্গে তিনি কখনো আপস করেন না।’
অত্যন্ত মানবিক ও উঁচু মূল্যবোধ সম্পন্ন একজন লিপুকে আমি চিনি অনেক দিন ধরে। অর্থ-কষ্টের সেই দিনগুলোতে তিনি যেমন মানুষ ছিলেন। আজ প্রাচুর্য-ক্ষমতা আর শীর্ষ পদারোহণ করেও তিনি সেই মানুষই আছেন। বদলে যান নি একটুও। আমার মতে এটিই হচ্ছে একজন লিপুর জীবনের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব। ‘কঠোর পরিশ্রম,সততা ও বিনয় যে মানুষের সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে। লিপু ভাই তার উৎকৃষ্টতম উদাহরণ।’-সম্প্রতি ক্লাস ব্রিক্স অ্যান্ড সিরামিক্স লিঃ এর নির্বাহী পরিচালক এর কার্যালয়ে আলাপচারিতায় এভাবেই মূল্যায়ন করেন লিপুর দুঃসময়ের ব্যবসায়িক পার্টনার এবং রম্য ম্যাগাজিন উন্মাদ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এম.জেড রহমান স্বপন।
আমাদের সমাজের বিত্তশালী ও ক্ষমতাবান মানুষের মধ্যে ভয়ংকর রকম দ্বিচারিতা লক্ষ্য করা যায়। দিনের প্রাকৃতিক আলোয় এক রকম তো রাতের ঝলমলে কৃত্রিম আলোয় তারা অন্য রকম বনে যান। কর্মজীবনে সফলতার দ্বীপ শিখায় চারদিক আলোকিত করলেও অনেকের ব্যক্তিগত জীবন কালো মেঘের ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঢাকা পড়ে থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও একজন লিপু আমাদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। বাবা হিসেবে, স্বামী হিসেবে,ভাই হিসেবে, আত্মীয় হিসেবে,প্রতিবেশী হিসেবে, ব্যবসায়ী হিসেবে,বন্ধু হিসেবে তিনি সবার কাছে সমান জনপ্রিয়। নিজের পরিবারের পাশাপাশি নিকটাত্মীয়দেরও পরম মমতায় আগলে রাখেন সর্বদা।
কর্মজীবনের পাশপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও প্রতিটি ক্ষেত্রে লোভ-লালসা ও স্বার্থপরতাকে তিনি দু’পায়ে মাড়িয়ে চলেছেন সব সময়। অর্থ-নারী এবং ক্ষমতা এই ত্রয়ের প্রতি মানুষের দর্বলতা খুবই প্রাসঙ্গিক। নানা পর্যায়ের অনেক সৎ এবং নামকরা মানুষের মধ্যেও এসব দোষ-গুণের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম একজন লিপু । শীর্ষ পদারোহন করেও তিনি অনন্য মাত্রার এক ব্যতিক্রমী কীর্তিমান পুরুষ। এখানে তার সহধর্মিণীর অবদান বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য। সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমায় একজন লিপু তার আদর্শদীপ্ত জীবনধারায় শুরু থেকেই স্ত্রীর অকুণ্ঠ সহযোগিতা ও সমর্থন লাভ করেছেন। মেজাজ-মননে তারা যেন দুটি দেহে একই প্রাণ। মিসেস লিপু একজন আইনজীবি হলেও বর্তমানে তিনি রুমী ফিস ফিড ইন্ডাষ্ট্রিজ’র ছেয়ারম্যান হিসেবে যথেষ্ট সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রসঙ্গত এ বিষয়টি টেনে আনলাম এজন্য যে, লিপুর সতাদর্শিক জীবন-যাপনের জন্য নেপথ্যে থেকে সর্বদা প্রেরণা যুগিয়েছেন মিসেস লিপু। শাড়ী-গহনা কিংবা ভোগ-বিলাসের চাহিদা তাকে কখনো স্পর্শ করতে পারেনি। এক মেয়ে এবং দুই ছেলে নিয়ে তাদের সংসার যেন স্বর্গীয় বাগান। যত দূর দেখেছি, সন্তানদের মধ্যেও বাবা মায়ের প্রভাব খুবই স্পষ্ট। কোনো অহংকার নেই তাদের মনে। লিপু-রুমী দম্পতির ছেলে তাফসির-তাজওয়ার এবং একমাত্র মেয়ে তানজিনা খুবই বিনয়ী এবং সহজাত প্রবৃত্তির মানুষ হিসেবে গড়ে উঠছে। ইসলাম ধর্ম মতে নেক্কার স্ত্রী-সন্তান হাজার কোটি টাকার চেয়েও অনেক বড় নেয়ামত। মহান আল্লাহ তাকে সব নেয়ামতই দান করেছেন।
শেষ কথাঃ বিবেকই মানুষকে অন্য জীব থেকে আলাদা করেছে এবং শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসিয়েছে। সৃষ্টিকর্তা মানুষের এই বিবেককে স্বাধীন করে দিয়েছেন। কেউ চাইলে এই বিবেক দিয়ে নিজেকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসাতে পারে, আবার কেউ নিজেকে নিকৃষ্ট পর্যায়ে নামাতে পারে। এই বিবেকের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করেই লিপু সাহেব অলংকৃত করেছেন নিজের আসন।

 

শেয়ার করুন
Share on Facebook
Facebook
Pin on Pinterest
Pinterest
Tweet about this on Twitter
Twitter
Share on LinkedIn
Linkedin