
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কর্মকর্তাদের শুধু মন্ত্রণালয়ে বসে থেকে গতানুগতিক কাজ করলে হবে না। মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত পরিদর্শনে যেতে হবে। দেশের কোন এলাকায় কী চাষ করা যাবে বা সম্ভাবনা আছে তা চিহ্নিত করে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। যাতে করে কৃষি উৎপাদন আরও বাড়ানো যায়।
রোববার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময়ে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য আমাদেরই উৎপাদন করতে হবে। চলমান করোনার কারণে খাদ্য সংকট বা দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে আমাদের হাতে টাকা থাকলেও খাদ্য পাওয়া কঠিন হবে। অনেক ক্ষেত্রে পাওয়াই যাবে না।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তায় মূল চ্যালেঞ্জ হলো আমাদের জনসংখ্যা প্রতি বছর ২২-২৩ লাখ বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু চাষের জমি কমছে। এই স্বল্প জমি থেকেই মানুষের খাদ্য এবং প্রাণি ও পোল্ট্রি ফিডের জোগান দিতে হবে। সেজন্য কৃষি বিভাগের সবাইকে আরো আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয় ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নেদ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। ৫১টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে পর পর দুই বার এ সাফল্য অর্জন করাই সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, এ সাফল্যের পর আমাদের আরো তৎপর থাকতে হবে। এপিএ বাস্তবায়নে আরো নিষ্ঠাবান হতে হবে।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) ড. মো।। আবদুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।